পথচলা১
***
আমাদের বিয়ে হয়ে গেল।আমার শাশুড়ি মা কাঁদতে কাঁদতে আমাকে বললেন," বাবা,আমার মেয়েটা একটু অন্য রকম।তুমি ওকে দেখে রেখো।"
মনে মনে না হেসে পারলাম না,কারণ আমি জানি যে মিথিলা কতটা অন্য রকম!এই ৮/৯বছরে তো এইটুকু তো অবশ্যই জেনে নিয়েছি।
কান্নাকাটি শেষে গাড়িতে উঠলাম।একমাত্র মেয়ের বিদায়ে সবারই মন খারাপ।থাকাটা স্বাভাবিক ও।আর মিথিলাকে দেখ,কীভাবে কান্না করছে।আমাকে তো বলেছিল,"আমি একদম কান্না করব না,পরে আমার সব মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে।"
আমিও হেসে জবাব দিয়েছিলাম,"আচ্ছা, সেটা দেখা যাবে"
গাড়িতে উঠেও কাঁদছে ফুপিয়ে ফুপিয়ে। আচ্ছা কাঁদুক।এই বিয়ের কনে সাজার জন্য যে ওকে কত কষ্ট করতে হয়েছে তা কি ওর মনে আছে?।আসলে,প্রেম করে বিয়ে করাটা খুব কষ্টের।তবে কথায় আছে না,কষ্ট করলে কেষ্ট মিলে,আমার ক্ষেত্রে তাই ই হয়েছে।আমি আমার কেষ্ট পেয়ে গিয়েছি। মনে মনে আমি সত্যি ই খুশি!
"সিফাত!আমি কাদঁছি আর তুমি হাসছো??" মিথিলা রাগে বলল।এই রে,এখন কি হবে?
"না...মানে....আসলে তোমাকে অনেক কিউট লাগছে তো তাই!"৩২দাঁত কেলিয়ে কথাটা বললেও খুব একটা সুবিধা করতে পারলাম না।
"আমি কাঁদছি আর তোমার কাছে কিউট লাগছে? তোমরা ছেলেরা কি বুঝবে মেয়েদের কষ্ট?" বলে মুখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকল।
"আচ্ছা,বাবুই সরি!তুমি একটু রেস্ট নাও।একটু ঘুমাও।বাসায় যেতে এখনও দেরি।"
"হু" বলে আমার বাম হাত জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ল মিথিলা।যেটা ও সবসময়ই করে।
আচ্ছা ওর কি মনে আছে আমাদের সম্পর্কের শুরুটা?
***
আমি ওকে দেখেছিলাম যখন ক্লাস নাইনে পড়ি।আমার এক বন্ধু আবিদের সাথে।মেয়েটা হাত পা নাড়িয়ে একটানা কথা বলেই যাচ্ছে।দূর থেকে দেখে আমি একটু অবাক হয়েছিলাম।যদিও তখন সে অন্য কারও ছিল,আর আমিও তখন অন্য একজনের সম্পত্তি হাতানোর ব্যর্থ প্রয়াসে ব্যস্ত ছিলাম।পরে জানতে পারলাম,ঐ উদ্ভূত অঙ্গভঙ্গি করা মেয়েটা আবিদের গার্লফ্রেন্ড ছিল যাদের সম্পর্ক কয়েক মাস ও টিকেনি।
আমিও এদিকে টানা দু'বছর ব্যর্থ চেষ্টা করার পর ছেকা খেয়ে বেকা হয়ে বসে ছিলাম।বন্ধুদের সাহায্যে কোনো মতে এসএসসি পরীক্ষাটা দিয়েছিলাম।ফেসবুকে ঘুরাঘুরি করতে করতে হঠাৎ একটা আইডি খুঁজে পাই।প্রথমে ভেবেছিলাম ফেইক আইডি হয়তো,তাই ভাবলাম,দেখি একটু বাজিয়ে। এমনেও বাজে সময় যাচ্ছে আমার।
আমার দেওয়া প্রথম মেসেজ টা ছিল"আপু,আপনাদের কলেজে ফিজিক্সের কোন বইটা কিনতে বলেছে?"
উত্তরটা এল কিছুক্ষণ পর, "আমি আর্টসে পড়ি।তাই জানি না।"
"ও, আচ্ছা।"
মেসেজটা দেখে রেখে দিল।তারপর আমিই মাঝে মধ্যে মেসেজ দিতাম,সে ও আমাকে ভদ্রতা দেখিয়ে উত্তর দিত।আস্তে আস্তে আমরা ভদ্রতার লেভেল পার করে বন্ধুত্বের লেভেলের দিকে এগুতে থাকি।
প্রতিদিন কথা বলা,সব কিছু শেয়ার করা হতো।মেয়েটার মাথার একটা তার যে একটু ঢিলে ছিল,সেটা কিছুদিন কথা বলার পরই আমি বুঝতে পেরেছিলাম।কিন্তু তবুও কেন জানি এই তারছিড়া মেয়েটার সাথে কথা বলতে ভালো লাগতো।প্রত্যেক দিন রাত ১০টা থেকে কথা শুরু হতো।শেষ হতে হতে ফজরের আযান দিয়ে দিত কখনও কখনও।কী দিন ছিল!
আমরা অনেক নির্ভরশীল হয়ে গেছিলাম একে অপরের ওপর।আমি ফোন বিক্রি করে দিব, তাই মিথিলাকে বলেছিলাম আমাদের আর যোগাযোগ হবে না।মেয়েটা কেন জানি আমাকে ফোন দিয়ে অনেক বকল,অনেক বুঝালো,তারপর নীরবে কাঁদতে লাগল।বুকের মাঝে একটা অদ্ভুত অনূভুতি ঘুরপাক খাচ্ছিল।আসলেই মিথিলা একটু অন্যরকম।
tags: bangla kobita, bangla golpo ,kobita , golpo , notun golpo, fb status
fb caption ,fb captions bangla, bangla fb status ,FB status about life bangla
best caption bangla,bangla kobitar line , bangla kobita caption , bangla kobita caption bangla,
সাম্প্রতিক বাংলা কবিতার লাইন ,বাংলা কবিতা Romantic bangla kobita,বাংলা কবিতা, বাংলা কবিতা স্ট্যাটাস , ভালো বাংলা কবিতা ,বাংলা রোমান্টিক কবিতার লাইন ,প্রেমের কবিতা ,আধুনিক প্রেমের কবিতা,
bangla golpo romantic ,বাংলা প্রেমের কবিতা ,ফুল নিয়ে প্রেমের কবিতা ,প্রথম দেখা প্রেমের কবিতা ,facebook status bangla ,bangla sad status for fb,facebook status bangla 2021
bengali sad status for Whatsapp ,facebook status bangla 2020 ,বাংলা কবিতা,
বাংলা গল্প
0 Comments